কাতার বিশ্বকাপ রোববার সাক্ষী হয় আরেকটি অঘটনের। আল থুমামা স্টেডিয়ামে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর দল বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় ২২ নম্বরের মরক্কো। যার ফলে শেষ ষোলোয় যাওয়ার পথে বড় ধাক্কা খায় রবের্তো মার্তিনেসের দল।
শক্তি-সামর্থ্যে অনেক পিছিয়ে থাকা মরক্কোর বিপক্ষে হার মানতে পারেননি বেলজিয়াম সমর্থকরা। কেভিন ডে ব্রুইনে, এদের আজারদের হারে ক্ষুব্ধ ভক্তরা নেমে আসেন রাস্তায়। এতে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে শুরু হয় দাঙ্গা।
সংঘর্ষের খবর আসতেই পুলিশ ব্রাসেলসের কিছু অংশ বন্ধ করে দেয়। বিক্ষোভকারীরা একটি গাড়ি উল্টে এবং অগ্নিসংযোগ করে, বৈদ্যুতিক স্কুটারে আগুন লাগিয়ে দেয়।ইট ছুড়ে গাড়ি ভাঙচুর করেন। লাঠি হাতে নিয়ে অনেকেই রাস্তায় নেমে আসেন। এ সময় একজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান মোতায়েন করে এবং কাঁদানে গ্যাসও প্রয়োগ করে।
ব্রাসেলসের মেয়র ফিলিপ ক্লোজ ব্রাসেলসের সিটি সেন্টার থেকে লোকজনকে দূরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, রাস্তায় শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রশাসন কাজ করছে।
ক্লোজ বলেন, ‘আজ দুপুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। পুলিশ ইতোমধ্যে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। আমি ভক্তদের শহরের কেন্দ্রে আসতে না বলছি। দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি।’
ঘটনার সময় প্রায় ১০০ জন পুলিশ আধিকারিককে রাস্তায় নামানো হয়েছিল। তবে বিশৃঙ্খলার সময় কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার করা যায়নি। এদিকে হিংসার আঁচ থেকে বাঁচাতে মেট্রো স্টেশনগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়, এবং রাস্তাগুলিকেও অবরুদ্ধ করা হয়।
এদিকে বেলজিয়ামের বিপক্ষে জয়ের পর মরক্কোর লোকজন দেশটির রাস্তায়-রাস্তায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে জয় উদযাপন করছে।
আগামী বৃহস্পতিবার গত আসরের রানার্স-আপ ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে বেলজিয়াম। ম্যাচটি জিতলে শেষ ষোলোয় জায়গা করে নেবে তারা। ড্র করলেও থাকবে সুযোগ, তবে চেয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচে কানাডা জয় ও আরও কিছু সমীকরণের দিকে।