luckygetpin-up1 win onlineaviatormosbet

ফোর্বসের ‘৩০ অনূর্ধ্ব ৩০’ সফল উদ্যোক্তার তালিকায় স্থান পেল যে ৭ বাংলাদেশি


কারিগরি নিউজ ২৪ প্রকাশের সময় : মে ২১, ২০২৩, ৪:৩৭ অপরাহ্ণ /
ফোর্বসের ‘৩০ অনূর্ধ্ব ৩০’ সফল উদ্যোক্তার তালিকায় স্থান পেল যে ৭ বাংলাদেশি

যুক্তরাষ্ট্র্র থেকে প্রকাশিত বিখ্যাত ম্যাগাজিন ‘ফোর্বস’-এর তৈরি করা এশিয়ার ৩০ বছরের কম বয়সী উদ্যোক্তা ও সমাজ পরিবর্তনকারীর (চেঞ্জমেকার) ২০২৩ সালের তালিকায় স্থান পেয়েছেন ৭ বাংলাদেশি। কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশি তরুণরা ধারাবাহিকভাবে এ তালিকায়।
এদের মধ্যে ৭ জনই প্রকৌশলী।
বুয়েট – ০২ জন
চুয়েট- ০১ জন
রুয়েট- ০১ জন
নর্থ সাউথ- ০১
এম আই এস টি -০১ জন
পলিটেকনিক -০১ জন

এ বছর ৩০ বছরের কম বয়সী ৭ বাংলাদেশি তরুণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। ক্ষেত্রগুলো হলো- কনজ্যুমার টেকনোলজি, গণমাধ্যম, বিপণন, বিজ্ঞাপন ও সামাজিক প্রভাব।
উদ্যোক্তা হিসেবে দেশের ৭ জনের এশিয়ার সেরা ৩০ এ জায়গা করে নেওয়া প্রকৌশলীদের জন্য গর্বের।

বিখ্যাত বিজনেস জার্নাল ফোর্বস ২০১১ সালে প্রথমবারের মত ‘৩০ অনূর্ধ্ব ৩০’ তালিকা প্রকাশ করে। ব্যবসা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা ৩০ বছরের কম বয়সী ৩০ জনকে নিয়ে তালিকাটি তৈরি করা হয়। ২০২৩ সালের ‘ফোর্বস থার্টি আন্ডার থার্টিতে’ ৩০ অনূর্ধ্ব ৩০ শীর্ষক এশিয়া ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছেন ৭ বাংলাদেশি তরুণ। বিখ্যাত বিজনেস জার্নাল ফোর্বস ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো ‘৩০ অনূর্ধ্ব ৩০’ তালিকা প্রকাশ করে। ব্যবসা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা ৩০ বছরের কম বয়সী ৩০ জনকে নিয়ে তালিকাটি তৈরি করা হয়। ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগের জন্য মোট ২৫ জন বাংলাদেশির নাম এ তালিকায় স্থান পেয়েছে। এ বছর ৩০ বছরের কম বয়সী ৭ জন বাংলাদেশিকে ৩টি ক্ষেত্রে তাদের অবদানের জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ক্ষেত্রগুলো হলো- কনজিউমার টেকনোলজি; গণমাধ্যম; বিপণন; বিজ্ঞাপন এবং সামাজিক প্রভাব। এ বছর ফোর্বস ৩০ অনূর্ধ্ব ৩০-তে জায়গা করে নেওয়া ৭ বাংলাদেশি হলেন।

আজিজ আরমান প্রতিষ্ঠাতা, যাত্রী – বিভাগ: কনজিউমার টেকনোলজি : ‘যাত্রী’র সহপ্রতিষ্ঠাতা আজিজ আরমান। বাংলাদেশের বিশৃঙ্খল পরিবহন ব্যবস্থায় জনগণের চলালের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে কাজ করছে তার প্রতিষ্ঠিত ‘যাত্রী’। যাত্রীদের জন্য নায্য ভাড়া নিশ্চিতে গত বছর ঢাকা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন তার স্ট্যার্টআপের মাধ্যমে ৫ হাজার ৬৫০টি পাবলিক বাসের জন্য ই-টিকিটিং সিস্টেম চালু করতে সম্মত হয়। এ ছাড়া স্টার্টআপটি ভাড়ায় গাড়ি পরিষেবা দিয়ে থাকে। ২০২১ সালে ফার্মটি রিফ্লেক্ট ভেঞ্চারস, ব্রেন-টু-ফ্রি ভেঞ্চারস এবং এসবিকে টেক ভেঞ্চারসহ বিভিন্ন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১.২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির মোট তহবিল প্রায় ৫.২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

রুবাইয়াত ফারহান ও তাসফিয়া তাসবিন প্রতিষ্ঠাতা, মার্কোপলো.এআই বিভাগ: মিডিয়া, মার্কেটিং ও বিজ্ঞাপন : মার্কোপোলো.এআই হলো একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান, যেটি ছোট ও মাঝারি আকারের ব্যবসার জন্য ডিজিটাল বিপণনে কাজ করে থাকে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেগুলো প্রচার করা হয়। সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক এ প্রোগ্রামটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং বিজ্ঞাপনের সাফল্য এবং পোস্টিংয়ের বিষয়ে তারা পূর্বাভাসও দিয়ে থাকে। গত বছর, কোম্পানিটি সিঙ্গাপুরের ভিসি ফার্ম এক্সিলারেটিং এশিয়ার মাধ্যমে ৭ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে।

জাহ্নবী রহমান সহ-প্রতিষ্ঠাতা, রিলাক্সি – বিভাগ: স্যোসাল ইমপ্যাক্ট : রিল্যাক্সির সহ-প্রতিষ্ঠা জাহ্নবী রহমান। এটি একটি প্রযুক্তি-ভিত্তিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্ল্যাটফর্ম। যেটি বাংলাদেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সেবার বিষয়ে কাজ করছে। মানসিক স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত সমস্যায় ভুগছেন এমন তরুণদের ডিজিটালি সমাধান প্রদান করে থাকে রিলাক্সি। পাশাপাশি রিল্যাক্সি বেশ কয়েকটি বিনামূল্যের পরিষেবা প্রদান করে থাকে। যেমন, মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা, মেডিটেশন এবং কম খরচে ভার্চুয়াল থেরাপি সেশন। হুয়াওয়ের আইসিটি ইনকিউবেটরে ২০২২ সালের দ্বিতীয় রানার-আপ হিসেবে নির্বাচিত হয়ে প্ল্যাটফর্মটি। বর্তমানে এটির ১৫ হাজারেরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছেন।

দীপ্ত সাহা সহ-প্রতিষ্ঠাতা, অ্যাগ্রোশিফট টেকনোলজিস – বিভাগ: কনজিউমান টেকনোলজি : অ্যাগ্রোশিফট টেকনোলজিস হলো একটি কৃষিভিত্তিক সাপ্লাই চেইন প্ল্যাটফর্ম। যেখোনে ব্যবসায়ীরা সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কিনে কৃষকদের ন্যায্য মূল্য পেতে সহায়তা করে। অ্যাগ্রোশিফ্ট সরাসরি কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কাজ করার কারণে গার্মেস্ট ্রমিকদের কাছে কম দামে টাটকা সবজি সরবরাহ করতে পারে। প্ল্যাটফর্মটি সম্প্রতি রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) গ্লোবাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জের জন্য এইচঅ্যান্ডএম এর স্টিচ জিতেছে এবং শরুক পার্টনার্স এবং অ্যাংকরলেস বাংলাদেশের নেতৃত্বে একটি প্রি-সিড রাউন্ডে ১.৮ মিলিয়ন ডলার অর্জন করেছে।

আনোয়ার সায়েফ ও সারাবন তহুরা, প্রতিষ্ঠাতা, টার্টল ভেঞ্চার স্টুডিও-বিভাগ: স্যোসাল ইমপ্যাক্ট : সারাবন তহুরা তুরিন এবং আনোয়ার সায়েফ অনিকের প্রতিষ্ঠিত টার্টল ভেঞ্চার স্টুডিও তরুণ স্ট্যার্টাপদের জন্য অর্থায়ন, পরামর্শসহ বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সহায়তা করে থাকে। দেশে এ ধরনের প্রথম কোনো উদ্যোগ এটি। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সাল থেকে ৯০ জনের বেশি উদ্যোক্তার সঙ্গে কাজ করেছে। প্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রোগ্রাম পরিচালনার পাশাপাশি, প্ল্যাটফর্মটি শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করতে ‘ইয়াং টার্টল’ নামে একটি প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে।

x